ওমানে ব্যাংক একাউন্ট বন্ধসহ বিভিন্ন ধরণের ম্যাসেজ পাঠিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে একটি চক্র। এমন ম্যাসেজ সবাইকে এড়িয়ে চলতে আহ্বান জানিয়েছে দেশটির ওমান রয়্যাল পু'লিশ।
এক বিবৃতিতে পু'লিশ জানায়, সম্প্রতি সাধারন মানুষের মাঝে কিছু স্থানীয় বিভিন্ন ব্যাংকের লগো ব্যবহার করে ভুয়া ম্যাসেজ পাঠাচ্ছে একদল চক্র। তাই সাইবার প্রতারণা শিকার না কোন সংস্থা বা অ’পরিচিত কাউকে ব্যাক্তিগত কোন তথ্য শেয়ার না করতে অনুরোধ করা হচ্ছে।
এদিকে, সাংবাদিক হ'ত্যাকারীদের বিচারের আ্ওতায় আনার পাশাপাশি চাপ বা হু’মকি ছাড়া সত্য রিপোর্ট করার জন্য সংবাদকর্মীদের প্রয়োজনীয় সুরক্ষার দাবী জানিয়েছে ওমানি জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন।
৩০ সেপ্টেম্বর ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব জার্নালিস্টস আয়োজিত জেনেভায় জাতিসং'ঘ সদর দফতরে বিশ্বের সাংবাদিক ও গণমাধ্যম পেশাজীবীদের নিরাপত্তা সংক্রা'ন্ত বৈঠকে এসব বি'ষয় উঠে আসে।
বিশেষ করে, ফিলিস্তিন, ইয়েমেন,আরব বিশ্বসহ সমস্ত সং'ঘা'তে দ্বায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সংবাদিকরা নি'র্যাতিত হচ্ছেন। তাদের সুরক্ষার জন্য নতুন একটি আন্তর্জাতিন আইন তৈরি করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
এছাড়া সাংবাদ কর্মীদের জন্য আন্তর্জাতিক সনদ তৈরি, সাংবাদিকদের নিরাপত্তার অবকাঠামো, সাংবাদিকদের কার্যকারিতা বাড়াতে সক্ষম এমন একটি নির্দিষ্ট সংস্থা পরিচলনা করার দাবী জানিয়েছে তারা।
প্রবাসী বাবার লা’শের অ’পেক্ষায় দিন গু'নছে পারভেজ বাবা হারানোর কষ্ট নিয়ে এসএসসি পরীক্ষা দিতে বসেছিলো সৌদি প্রবাসীর ছেলে পারভেজ। পরীক্ষা শেষ 'হতে চলেছে। কিন্তু বাবার লা'শ এখনো দেশে আসেনি। সৌদি আরবের এক হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে তার বাবার লা'শ। কবে লা'শ দেশে আসবে, তা–ও জানেন না প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
পারভেজ আলম নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজে'লার বনপাড়া পৌরসভার মালিপাড়া গ্রামের হারুণ অর র'শিদের ছেলে। পরিবারের সদস্যদের স''ঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হারুণ ১৫ বছর ধরে সৌদি আরবে থাকেন।
গত ২৫ আগস্ট সৌদি আরব থেকে এক ব্যক্তি তাকে ফোন করে তার বাবার মৃ'ত্যুর খবর দেন। এরপরই ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন'্ন করে দেওয়া হয়। অনেক চেষ্টার পরও বাবার নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের স''ঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি পরিবার।
পারভেজ বলে, বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে নাটোরের জে'লা প্রশাসক শামীম আহমেদ ব্যক্তিগত উদ্যোগে বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম উইংয়ের প্রতিনিধি ফয়সাল আহমেদের স''ঙ্গে যোগাযোগ করেন। তার বরাত দিয়ে পারভেজ আলম জানান, তার বাবা মা'রা গেছেন, এটা মোটামুটি নিশ্চিত।
সৌদির আবকিক থানা সূত্রে জানা গেছে, হারুণ অ'গ্নি দু'র্ঘটনায় মা'রা গেছেন। লা'শ আবকিক জেনারেল হাসপাতালের হিমঘরে রাখা আছে। দু'র্ঘটনাজনিত মৃ'ত্যু হওয়ায় ফাইল ব্যুরো অন ইনভেস্টিগেশন অফিসে আছে।
থানায় ফাইল পৌঁছালে লা'শ দেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে। এদিকে সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে পুরো পরিবার শোকা'হত। এখন তাদের একমাত্র চাওয়া, হারুণের লা'শটা দেশে আসুক।
পারভেজ আলম বলে, ‘আমর'া শুরুতে বাবার ফোন বন্ধ পাই। পরে অচেনা নম্বর থেকে বাবার মৃ'ত্যুর খবর দেওয়া হয়। সংবাদ সম্মেলন করে ঘটনাটি আমর'া সংবাদ মাধ্যমকে জানাই। খবর প্রকাশের দিনই জে'লা প্রশাসক বাবার খোঁজখবর নেন। তিনি ফোন করে বাবার মৃ'ত্যুর বি'ষয়টি নিশ্চিত করেন। আমর'া তার কাছে বাবার লা'শ ফেরতের জন্য আকুতি জানিয়েছি। তিনি চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন।’
জে'লা প্রশাসক শামীম আহমেদ জানান, দু'র্ঘটনায় মৃ'ত্যু হওয়ায় সেখানকার আইন অনুযায়ী পু'লিশ ক্লিয়ারেন্স না পাওয়া পর্যন্ত তারা লা'শ ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করতে পারছে না। আইনি প্রক্রিয়া শেষ হলে লা'শ দেশে ফেরত পাঠানো হবে।