কৃষকের হাত ধরে পালালেন দুই সন্তানের জননী ওমান প্রবাসীর স্ত্রী সাহেদা বেগম। সম্প্রতি ফরিদপুরের সালথা উপজে'লার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের কুমা'রপট্টি গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। এলাকাবাসি সূত্রে জানাগেছে, ১৫ বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় ওই গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস মাতুব্বরের ছেলে ইমর'ান মাতুব্বরের সাথে। বিয়ের পাঁচ বছরের মাথায় সোনার হরিণের আশায় পাড়ি দেন ওমান।
ইমর'ান এখনো ওমানেই রয়েছেন। ফলে ১৫ বছরের দাম্পত্য জীবনের ১০ বছরই স্বামীবিহীন কে'টেছে সাহেদা বেগমের। এ সময় তার কোল জুড়ে এসেছে দুই ছেলে। এভাবে স্বামীবিহীন থকতে থাকতে এক সময় প্রতিবেশী এক কৃষকের স''ঙ্গে প'রকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন স্ত্রী। অবশেষে তার হাত ধরেই তিনি উধাও হয়েছেন বলে অ'ভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসী জানান, গত চার দিন আগে পরিবারের সবার চোখ ফাঁ'কি দিয়ে তারা পালিয়ে গেছেন। তবে, তাদের প'রকীয়ার বি'ষয়টি জানাজানি হয় বেশ কিছুদিন আগে।
প্রবাসী ইমর'ানের মা নিহারুন বেগম জানান, বিয়ের ৫ বছর পর ইমর'ান বিদেশে (ওমান) চলে যান। গত ১০ বছর ধরে তিনি বিদেশে রয়েছেন। এর মধ্যে আড়াই বছর আগে একবার দেশে এসে মাসখানেক ছিলেন। তারপর আবারও চলে যান। তিনি আরও বলেন, ছেলে বিদেশে থাকার সুবাধে তার স্ত্রী সাহেদা প্রতিবেশী ওসমান ব্যাপারীর ছেলে আলম ব্যাপারীর স''ঙ্গে প'রকীয়ায় জড়িয়ে যান। আলম অবিবাহিত ও কৃষি কাজ করেন। প্রায়ই আলম আমা'দের বাড়িতে এসে আড্ডা দিতেন। আমর'া বাধা দেওয়ার পরও কেউ তোয়াক্কা করেনি।
গত ম''ঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে সাহেদা স্বর্ণের জিনিস ও নগদ টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর থেকে তার প্রেমিক আলমও বাড়িতে নেই। খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারি আলমের স''ঙ্গে পালিয়ে গেছে সাহেদা।
তার ছেলে সজিব বলেন, মা বাড়িতে থেকে যাওয়ার সময় আমা'র ছোট ভাই সুহানকে (৫) ১০ টাকা হাতে ধরিয়ে বলে, যাও বাড়িতে যাও। এরপর তিনি আর বাড়িতে ফেরেননি। আমর'া খোঁজ নিয়ে জেনেছি, মা প্রতিবেশী আলমের স''ঙ্গে চলে গেছেন। এ বি'ষয় আলম ব্যাপারীর স''ঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। আর তার বাড়িতে গিয়েও কোনো পুরুষ মানুষের দেখা মেলেনি। বাড়ির নারীরা জানান, এ ব্যাপারে তারা কিছুই জানেন না। কিন্তু আলম কয়েকদিন ধরে বাড়িতে নেই। কোথায় আছে তাও জানেন না। এ ঘটনায় গত বুধবার (৫ অক্টোবর) মামা লিঠু মোল্যা সালথা থানায় একটি অ'ভিযোগ দিয়েছেন।