বিশ্বজুড়ের অকাল মৃ'ত্যু বা প্যারালাইসিসের অন্যতম প্রধান কারণ স্ট্রোক। প্রতি বছর কোটি কোটি মানুষ স্ট্রোকের স্বীকার হয়ে মা'রা যাচ্ছেন বা প''ঙ্গু'ত্ব বরণ করছেন। তারা হয়তো জানতেন না কিছু লক্ষণ দেখেই স্ট্রোকের ব্যাপারে সতর্ক হওয়া যায়। আপনাকে আমর'া সেই লক্ষণগু'লো জানাতে এই লেখাটি তৈরি করেছি।
আসুন জেনে নেই কী সেই ৬টি লক্ষণ যা দেখে আপনি বুঝতে পারবেন যেকোনো সময় আপনার স্ট্রোক 'হতে পারে। এখানে উল্লেখ্য যে অনেকেই হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোককে গু'লিয়ে ফেলেন। হার্ট অ্যাটাকের মত স্ট্রোককেও হৃৎপিণ্ডের অসুখ বলে ধরে নেন। আসলে তা নয়। স্ট্রোক হৃৎপিণ্ডে হয় না, স্ট্রোক হয় মস্তিষ্কে। আসুন এবার একটু মনোযোগ দিয়ে লক্ষণগু'লো জেনে নেই।
অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ র'ক্তচাপ স্ট্রোকের মত গু'রুতর দু'র্ঘটনার জন্ম দিতে পারে। র'ক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে না থাকলে মস্তিষ্কের স্নায়ু ক্ষ'তিগ্রস্ত হয় এবং র'ক্তনালীগু'লোকে অতিরিক্ত চাপ সামলাতে হয়। শুধু তাই নয়। মস্তিষ্কের র'ক্তনালীগু'লো ফেটে মাথার ভেতরে র'ক্তক্ষরণ জনিত স্ট্রোকে মানুষ মা'রাও যেতে পারে।
স্ট্রোক হওয়া আগে আপনার দৃষ্টিশক্তি হ্রাস পেতে পারে। আপনি দূরের জিনিস দেখতে সমস্যায় পড়তে পারেন বা সবকিছু ঘোলা ঘোলা দেখতে পারেন। যুক্তরাজ্যে এক জরিপে অংশ নেওয়া ১,৩০০ স্ট্রোকের আ'ক্রা'ন্ত রোগী স্ট্রোকের আগে দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন।
স্ট্রোকের আগে আগে দে'হের এক পাশের বা উভয় পাশের হাত পা অবশ অবশ অনুভব 'হতে পারে। একই ঘটনা মুখমণ্ডলেও ঘটার সম্ভাবনা থাকে।
এক গবেষণায় দেখা গিয়ে, স্ট্রোক হওয়ার আগে প্রায়ই মাথা ঝিম ঝিম বা মাথা ঘোরাতে পারে। পাশাপাশি আপনাকে বিভিন্ন বি'ষয়ে দ্বিধান্বিত দেখাতে পারে।
স্ট্রোকের আগে র'ক্তনালী সরু হয়ে যায়। স্ট্রোক যত ঘনিয়ে আসে র'ক্তনালী দিয়ে র'ক্তপ্রবাহ তত বাঁধাগ্রস্ত হয়। ফলে মস্তিষ্ক তার প্রয়োজনীয় পরিমাণ অক্সিজেন বঞ্চিত হয় এবং তার প্রতিক্রিয়ায় প্রায়ই তীব্র মাথা ব্যথা দেখা দেয়।
৬. ঘাড় বা কাঁধের ব্যথা যদি প্রায়ই আপনার ঘাড় এবং কাঁধে ব্যথা হয় তাহলে সতর্ক হোন। দ্রুত ডাক্তার দেখান।
যারা স্ট্রোকের ঝুঁকিতে আছেন
১. যাদের র'ক্তচাপ ১৪০/৯০ mHg বা তার বেশি।
২. যাদের বয়স বেশি।
৩. যারা ধূমপান করেন।
৪. যাদের ডায়াবেটিস আছে।
৫. যারা হৃদরোগে আ'ক্রা'ন্ত।
অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ বি'ষয়
১. অ্যালকোহল এবং মা'দকদ্রব্য গ্রহণ।
২. স্থূলতা।
৩. তেল চর্বিযুক্ত খাবার বা ফাস্টফ।
৪. বি'ষণ্ণতা।
৫. কায়িক পরিশ্রমের অভাব।
৬. কোনো নিউরোলজিক্যাল সমস্যা।