ঋণ পরিশোধে কিশোরী মেয়েকে জোরপূর্বক অনৈ'তিক কাজে বাধ্য করতেন মা। এমনটাই অ'ভিযোগ করেছেন এক কিশোরী। শুধু তাই নয়, নি'র্যাতন সহ্য করতে না পেরে অবশেষে মায়ের বিরু'দ্ধে মা'মলা করেছেন ওই কিশোরী। এমন ঘটনা ঘটেছে মালয়েশিয়ার জোহর রাজ্যের তামান জোহরজায়া এলাকায়।
ওই কিশোরীর নাম ঝান। বয়স মাত্র ১৭ বছর। তিনি জানান, তিনি ও তার মা জোহর রাজ্যের তামান জোহরজায়া এলাকায় বসবাস করতেন। তবে তার মা কোনো চাকরি করতেন না। ধার-কর্জ করে সংসার চালাতেন।
ঝান জানান, এভাবে একসময় ঋণে জর্জরিত হয়ে পড়েন তার মা। আর সেই ঋণ পরিশোধে অর্থ যোগাড় করতে তাকে দিয়ে অনৈ'তিক কাজ করাতে বাধ্য করতেন। ঝান বলেন, তার মা তাকে ‘ঋণ পরিশোধের হাতিয়ার’ হিসেবে ব্যবহার করতেন। এমনকি অর্থের জন্য তাকে ষাটোর্ধ্ব পুরুষের হাতে তুলে দিতেও দ্বিধা করতেন না।
মায়ের এসব নি'র্যাতন সহ্য করতে না পেরে একসময় বাড়ি ছেড়ে পালান ঝান। আশ্রয় নেন স্থানীয় একটি শিশু আশ্রয়কেন্দ্রে। তাকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে সহযোগিতা করেন ওই এলাকার এক সমাজকর্মী।
কিন্তু এখানেও বাদ সাধেন ওই মা। মেয়েকে ফিরিয়ে নিতে ওই শিশু আশ্রয়কেন্দ্র ও ওই সমাজকর্মীর বিরু'দ্ধে মেয়ে ‘অ’পহরণ’-এর অ'ভিযোগ করেন।
ওই মায়ের অ'ভিযোগের জেরে সমাজকর্মী ও ঝানকে গত স'প্তাগে স্থানীয় থানায় নিয়ে আসা হয়। সেখানে পু'লিশের কাছে ঝান প্রমাণ করেন, তাকে কেউ অ’পহরণ করেনি। পাল্টা অ'ভিযোগ করে গত ম''ঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে মায়ের বিরু'দ্ধে মা'মলা দায়ের করেন ওই কিশোরী।
ঝান স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, তিনি আর তার মায়ের কাছে ফিরে যেতে চান না। ওই শিশু আশ্রয়কেন্দ্রেই থাকতে চান। সেখানেই একটি নতুন ও স্বাভাবিক জীবন শুরু করতে পারবেন বলে আশা করছেন তিনি।
থানায় দশ দিন আট'কে মহিলাকে ধ'র্ষণ! বিজেপি শাসিত রাজ্যে পাঁচ পুলিসকর্মীর কু'কীর্তি ফাঁ'স। উত্তরপ্রদেশের পর এবার মধ্যপ্রদেশ। সারা দেশে যেন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ধ'র্ষণের ঘটনা। আর এবার অ'ভিযোগের তির পাঁচ জন পুলিসকর্মীর দিকে। এক মহিলা অ'ভিযোগ করেছেন,
১০ দিন ধরে থানায় আট'কে রেখে তাঁকে গণধ'র্ষণ করেছেন পাঁচ জন পুলিসকর্মী। মধ্যপ্রদেশের রেওয়া জে'লার ম''ঙ্গাওন থানার ঘটনা। এই ঘটনায় যথেষ্ট চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মধ্যপ্রদেশে। পুলিসকর্মীদের বিরু'দ্ধে ধ'র্ষণের অ'ভিযোগ ওঠায় অস্বস্তিতে পড়েছে শিবরাজ সিং চৌহানের সরকার। কয়েকদিন বাদেই মধ্যপ্রদেশের ২৮ টি আসনে উপনির্বাচন। তার আগে থানার ভেতর গণধ'র্ষণের ঘটনা শিবরাজ সিং চৌহানের সরকারকে বেশ চাপে ফেলেছে।
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকে সরব হয়েছে কংগ্রে'স। বিজেপি শাসিত রাজ্য মধ্যপ্রদেশের এমন ঘটনা সমালোচনার কেন্দ্রে রয়েছে। এমনিতেই হাথরাস, বলরামপুর বুলন্দশহরের একের পর এক ধ'র্ষণের ঘটনার জেরে অস্বস্তিতে রয়েছে উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথের প্রশাসন। এর মধ্যে আরেক বিজেপি শাসিত রাজ্য মধ্যপ্রদেশে এমন নক্কারজনক ঘটনা ঘটল।
জে'লা আ'দালতের বিচারক ব'ন্দি মহিলার স''ঙ্গে দেখা করতে গেলে তিনি ধ'র্ষণের অ'ভিযোগ জানিয়েছেন। সেই মহিলা আরো জানান, তিনি ওয়ার্ডেনকে আগেই ধ'র্ষণের কথা জানিয়েছিলেন। কিন্তু ওয়ার্ডের সেসব শোনার পরও চুপচাপ ছিলেন। তবে বিচারক এদিন এই ঘটনায় ত'দন্তের নির্দেশ দেওয়ার পরই ওয়ার্ডেন সরব হন। তিনি স্বীকার করে নেন, ওই মহিলা তাঁকে কিছুদিন আগে সত্যিই ধ'র্ষণের ঘটনা জানিয়েছিলেন।